Search This Blog

Friday 27 May 2011

পশ্চিমবঙ্গে এবার পরিবর্তনের হাত ধরে কড়া অনুশাসন, বেয়াদপ সরকারি কর্মচারী সাসপেন্ড



নিজস্ব সংবাদ নির্মাতাঃ জনগনের চূড়ান্ত প্রত্যাশার ফলস্বরুপ বাংলার মূখ্যমন্ত্রীর পদে নির্বাচিত মমতা ব্যানার্জীর সাথে অসভ্য ব্যাবহার করে সাসপেন্ড হলেন এক সরকারি কর্মচারী। এর সাথে সাথে বাংলার কোনে কোনে এই বার্তা পৌছে গেলো যে সরকারি দপ্তরগুলিতে যে চুড়ান্ত অব্যাবস্থা এবং অনিয়মের আর্বজনা জমা করেছেন কিছু বামঘেষা 
আধিকারিক, তাদের বিরুদ্ধে এবার কড়া ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

ঘটনাটি ঘটে সকালে মহাকরনে, যেইখানে মাননীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র একটি অনুষ্ঠানে কিছু যুবককে পুরষ্কৃত করছিলেন। বাংলায় পরিবর্তনের হাত ধরে রাজ্যে ক্রীড়াব্যাবস্থায় যে আশার আলো দেখা গেছে, তারই ফলস্বরুপ তিনজন গ্রামের যুবক একটি ওয়ার্ল্ড রেকর্ড তৈরি করবার লক্ষ্যে ১৩ তারিখ ভোটের রেজাল্টের পরেই একটি বাংলাব্যাপী ম্যারাথন দৌড় শুরু করেন। লক্ষ্য ছিলো কত কম সময়ে দৌড়ে গোটা বাংলা কে প্রদিক্ষন করা যায়। প্রথম হয়েছেন যেই যুবকটি, তিনি এই দৌড় সম্পুর্ন করেছেন মাত্র ২ সেকেন্ডে।

তাকে প্রশ্ন করায় জানা যায়, যে অন্যদের মতন শুধু হাঁটু না খাটিয়ে তিনি মাথা খাটিয়ে এই অসম্ভব কাজটি করেছেন। বাকিরা দৌড়তে শুরু করবার পরেই তিনি পৌছে যান মাননীয় মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর কাছে, এবং দিদিকে ঘিরে এক চক্কর দৌড়ে নেন মাত্র ২ সেকেন্ডে। কারন কে না জানে, মমতাই হচ্ছে বাংলা, আর বাংলা মমতা। যুবকটি আরও জানিয়েছেন যে তার হিসেবমতন এই কাজটি দেড় সেকেন্ডে সম্ভব ছিলো, কিন্তু গত কয়েক মাস পরিবর্তনের স্বার্থে হেলিকপ্টার ভ্রমন করে এবং ট্রেডমিলে দৌড়নোর সময় না পেয়ে বাংলার ব্যাস কিঞ্চিত বেড়ে গেছে।

ক্রীড়া দপ্তর অবশ্য তিন যুবককেই পুরষ্কৃত করবার সিদ্ধান্ত নেন এবং এদিন সকালবেল সেই অনুষ্ঠানেই সমস্ত সরকারি কর্মচারী এবং মিডিয়ার সামনে মূখ্যমন্ত্রীর ঘরে মমতা ব্যানার্জী এদের হাতে তুলে দেন রবীন্দ্র রচনাবলীর সম্পুর্ন সমগ্র। এর পরে জমায়েত হওয়া জনতার অনুরোধে একটি ছোট বক্তৃতা দেন তিনি, যেখানে তিনি জানান যে এই দৌড়ের রেকর্ডের স্বীকৃতির জন্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে গিনেস বুকের কাছে লিখিত আবেদন জানানো হবে। বাংলার ক্রীড়াজগতের এমন গৌরবময় দিনে আনন্দিত হয়ে সমগ্র সবাই হাততালি দিতে আরম্ভ করেন। এর মধ্যেই অসভ্যতার নিদর্শন রাখলেন সরকারি কর্মচারী এ.কে.ধর। বাকি সবাই যখন হাততালি দিয়েই চলেছেন, সবার আগে হাততালি থামিয়ে দিলেন তিনি। বলাই বাহুল্য, বামফ্রন্ট জমানায় এমন ঔদ্ধত্য অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছিলো কিছু কর্মচারীর। তার প্রমান ওনার এই ব্যাবহারে।

কিন্তু অনুশাসনের কড়া নিদর্শন হিসেবে, এবং বাংলার আপামর জনতার কাছে গনতন্ত্র এবং স্বাধীনতার নবযুগের বার্তা পৌছে দিতে, আজ সন্ধ্যেবেলা নোটিশ দিয়ে সাসপেন্ড করা হয় এ.কে.ধরকে। বলাই বাহুল্য, সরকারের এই পদক্ষেপকে সুনজরেই দেখছেন সাধারন মানুষ।

No comments:

Post a Comment