Search This Blog

Thursday 21 July 2011

ব্রিগেডে মুক্তির সুর, সাক্ষী বাংলা



মানুষ। আর মানুষ। অসংখ্য মানুষের ভিড়ে ঢেকে গেলো কলকাতা। রথের মেলার ভিড়ে হারিয়ে যাওয়ার গল্প লিখেছিলেন বঙ্কিম, তার লেখনীতে বাঙালি খুঁজে পেয়েছিল গলে যাওয়া সমাজ থেকে মুক্তির দিশা। আর আজ সারা শহর যেন হারিয়ে গেল শহরের নিজের ভিড়েই। কলেজ স্ট্রীট, রবীন্দ্রসদন, শ্যামবাজার সবই ছিল আজ মমতার। আর শুধু মানুষ কেন? গত ৩৪ বছরে অত্যাচারী বামপন্তীদের হাতে নৃশংস ভাবে খুন হয়ে যাওয়া সেই ৫৫,০০০ বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের আত্মারাও যে বাংলার মুক্ত আকাশে বাতাসে এই আনন্দের রেশ নিয়ে মুচকি হাসছিলো না, তা কি কেউ হলফ করে বলতে পারবে? স্বাধীনতার পরের দিন কি এত মানুষকে দেখেছিল কলকাতার রাস্তা? প্রশ্নটা থেকে গেল।

আজ  এক নতুন স্বাধীনতা দিবসের উচ্ছাস দেখলো আপামর মানুষ, বামপন্থী সংস্কৃতির নামে আনন্দকে ব্রাত্য করে রাখার অভ্যেস, রাজনীতির নামে কারখানা বন্ধের কৌশল, সভার নামে বিরক্তিকর বক্তৃতা চায় না এই ইন্টারনেটলালিত, ফেসবুকমত্ত প্রজন্ম। তারা চায় গতি, তারা চায় নতুন উচ্ছাস, তারা চায় বেঁচে থাকায় ভুল করার স্বাধীনতা। রবীন্দ্রনাথ তারা শোনে, তারা শোনে গিটারের বাদ্যের সাথে, যা দেখে কিছুদিন আগেও অচলায়তন গড়ে তুলেছিলেন রবি-পন্ডিতরা। তারা মাথা ঘামায় না সাল তারিখে। তাই রবি ঠাকুরের গানকে যিনি মাথায় করে রেখেছেন সেই মমতার সামান্য সাল তারিখ ভুল নিয়ে ঝড় তুলুক বামপন্থী ফসিলেরা। গতিশীল নতুন প্রজন্মের তাতে থোড়াই কেয়ার।আর তাই জননেত্রী দৃপ্ত কন্ঠে ঘোষনা করলেন ২২শে শ্রাবন তিনি মহাড়ম্বরে পালন করবেন কবিগুরুর জন্মদিন। এবং পুরনো সনাতন প্রথার কপাটে সজোরে ধাক্কা মেরে এই যে নিয়ম ভাঙ্গার আহ্বান, সমবেত জনতা সশব্দ করতালিতে গ্রহন করলেন তাকে।

আজ  ব্রিগেডে টলিঊডের তরুন প্রজন্মের প্রতিনিধি দেব নিয়ে আসলেন নতুন বার্তা।পাগলু ড্যান্স।পাগলু- থোড়া সা কর লে রোম্যান্স। হে বীর শহীদ, আসুন আপনাদের মুখ থেকে রক্ত মুছে সেখানে লাগাই প্রেমের ছোয়া। সত্যি তো টলিউডের বাণিজ্যকে যারা বিশ্বের দরবারে নিয়ে গেছেন তাকে দূরে সরিয়ে রাখবে কে? তাকে তো মেশাতে হবে আজকের এই স্বাধীনতা সংগ্রামের উচ্ছাসে। আর তার সাথেই মিশে গেলো টলিউডের প্রাক্তন অভিনেতা তাপস পালের আবেগময় কন্ঠের 'এ আমার গুরুদক্ষিণা'। অসংখ্য মানুষ যারা কমিউনিস্ট বিরোধী লড়াই-এ শহীদ তাদের সবার হয়েই এই দক্ষিণা তাপসের। শহীদ দিবসের আবেগের সাথে মিশে গেলো দেবশ্রী, শতাব্দী দুই কন্যার নৃত্যের তাল। আর তাতে সংগত দিলেন অনুপ ঘোষাল। সত্যজিতের ঐতিহ্য মিশলো ব্রিগেডের জনপ্লাবনে।নিজের লেখা গানে ব্রিগেডকে মাতালেন নচিকেতা।চিরঞ্জিত বললেন আজ শহীদ দিবস, আসুন তাকেও আনন্দের উৎসব করে তুলি। মেতে উঠি আদি অকৃত্রিম মজাতে।

আর এই আনন্দ উৎসবের সাথে মিশলো, মহাশ্বেতার আশির্বাদ, রিজওয়ানুরের মা'র ভালোবাসা। মমতার বক্তব্যে মিশে গেলো রবীন্দ্রনাথ থেকে নজরুল, শান্তি বার্তা, থেকে ইনশাল্লার সুর। মাটির কাছাকাছি থাকা মানুষটি এলিটিসমের সাথে মেশালেন প্রতিদিনের খেটে খাওয়া মানুষের স্বপ্নকে। পোল্যান্ডের ওয়াজদাকে মনে করিয়ে দেওয়া মমতা নিজেই গাইতে থাকলেন জন গন মন অধিনায়ক হে।কে বলবে তার গলা ভাঙ্গা, তার আবেগ তো অটুট।


কিন্তু কি বার্তা দিলেন বার্লিন দেওয়াল ভাঙার উত্তরাধিকারিনী, আসলে এই ছক ভাঙ্গা শহীদ দিবস পালনের মধ্য দিয়ে উনি দেখালেন অতীতের দিকে তাকানোর দিন শেষ। সংস্কৃতির সাথে মিশে যাবে রাজনীতির স্বর। আর এই মুক্ত সংস্কৃতি নিয়ে আসবে মুক্ত অর্থনীতি। যে কাজটা তাড়াহুড়ো করে করতে গিয়ে বুদ্ধদেবের পতন। তাকেই আরো সুচারু রূপে সারবেন মমতা। কারণ তার হাতেই তো এখন রাজ্যের সব মাটি, পেছনের সব শিল্পপতি থেকে শুরু করে চায়ের দোকানের মানুষ, আর মা হিসেবে রয়েছেন বাংলা মা। ওয়াজদা, পাস্তেরনাক, সলজিৎস্লিনের সুরে মিশুক মা মাটির সুর। গড়ে উঠুক নতুন বাংলা।

Friday 27 May 2011

পশ্চিমবঙ্গে এবার পরিবর্তনের হাত ধরে কড়া অনুশাসন, বেয়াদপ সরকারি কর্মচারী সাসপেন্ড



নিজস্ব সংবাদ নির্মাতাঃ জনগনের চূড়ান্ত প্রত্যাশার ফলস্বরুপ বাংলার মূখ্যমন্ত্রীর পদে নির্বাচিত মমতা ব্যানার্জীর সাথে অসভ্য ব্যাবহার করে সাসপেন্ড হলেন এক সরকারি কর্মচারী। এর সাথে সাথে বাংলার কোনে কোনে এই বার্তা পৌছে গেলো যে সরকারি দপ্তরগুলিতে যে চুড়ান্ত অব্যাবস্থা এবং অনিয়মের আর্বজনা জমা করেছেন কিছু বামঘেষা 
আধিকারিক, তাদের বিরুদ্ধে এবার কড়া ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

ঘটনাটি ঘটে সকালে মহাকরনে, যেইখানে মাননীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র একটি অনুষ্ঠানে কিছু যুবককে পুরষ্কৃত করছিলেন। বাংলায় পরিবর্তনের হাত ধরে রাজ্যে ক্রীড়াব্যাবস্থায় যে আশার আলো দেখা গেছে, তারই ফলস্বরুপ তিনজন গ্রামের যুবক একটি ওয়ার্ল্ড রেকর্ড তৈরি করবার লক্ষ্যে ১৩ তারিখ ভোটের রেজাল্টের পরেই একটি বাংলাব্যাপী ম্যারাথন দৌড় শুরু করেন। লক্ষ্য ছিলো কত কম সময়ে দৌড়ে গোটা বাংলা কে প্রদিক্ষন করা যায়। প্রথম হয়েছেন যেই যুবকটি, তিনি এই দৌড় সম্পুর্ন করেছেন মাত্র ২ সেকেন্ডে।

তাকে প্রশ্ন করায় জানা যায়, যে অন্যদের মতন শুধু হাঁটু না খাটিয়ে তিনি মাথা খাটিয়ে এই অসম্ভব কাজটি করেছেন। বাকিরা দৌড়তে শুরু করবার পরেই তিনি পৌছে যান মাননীয় মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর কাছে, এবং দিদিকে ঘিরে এক চক্কর দৌড়ে নেন মাত্র ২ সেকেন্ডে। কারন কে না জানে, মমতাই হচ্ছে বাংলা, আর বাংলা মমতা। যুবকটি আরও জানিয়েছেন যে তার হিসেবমতন এই কাজটি দেড় সেকেন্ডে সম্ভব ছিলো, কিন্তু গত কয়েক মাস পরিবর্তনের স্বার্থে হেলিকপ্টার ভ্রমন করে এবং ট্রেডমিলে দৌড়নোর সময় না পেয়ে বাংলার ব্যাস কিঞ্চিত বেড়ে গেছে।

ক্রীড়া দপ্তর অবশ্য তিন যুবককেই পুরষ্কৃত করবার সিদ্ধান্ত নেন এবং এদিন সকালবেল সেই অনুষ্ঠানেই সমস্ত সরকারি কর্মচারী এবং মিডিয়ার সামনে মূখ্যমন্ত্রীর ঘরে মমতা ব্যানার্জী এদের হাতে তুলে দেন রবীন্দ্র রচনাবলীর সম্পুর্ন সমগ্র। এর পরে জমায়েত হওয়া জনতার অনুরোধে একটি ছোট বক্তৃতা দেন তিনি, যেখানে তিনি জানান যে এই দৌড়ের রেকর্ডের স্বীকৃতির জন্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে গিনেস বুকের কাছে লিখিত আবেদন জানানো হবে। বাংলার ক্রীড়াজগতের এমন গৌরবময় দিনে আনন্দিত হয়ে সমগ্র সবাই হাততালি দিতে আরম্ভ করেন। এর মধ্যেই অসভ্যতার নিদর্শন রাখলেন সরকারি কর্মচারী এ.কে.ধর। বাকি সবাই যখন হাততালি দিয়েই চলেছেন, সবার আগে হাততালি থামিয়ে দিলেন তিনি। বলাই বাহুল্য, বামফ্রন্ট জমানায় এমন ঔদ্ধত্য অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছিলো কিছু কর্মচারীর। তার প্রমান ওনার এই ব্যাবহারে।

কিন্তু অনুশাসনের কড়া নিদর্শন হিসেবে, এবং বাংলার আপামর জনতার কাছে গনতন্ত্র এবং স্বাধীনতার নবযুগের বার্তা পৌছে দিতে, আজ সন্ধ্যেবেলা নোটিশ দিয়ে সাসপেন্ড করা হয় এ.কে.ধরকে। বলাই বাহুল্য, সরকারের এই পদক্ষেপকে সুনজরেই দেখছেন সাধারন মানুষ।

Tuesday 24 May 2011

মহাকরনে কর্মসংস্কৃতি ফেরানোর উদ্যোগ মমতার, এরপর রাজ্যের পালা



নিজস্ব সংবাদ নির্মাতাঃ পশ্চিমবঙ্গে পালাবদলের হাওয়া কর্মসংস্কৃতির পালে এসে লাগলো। গত ৩৪ বছর ধরে বামেদের অপশাসনকালে সমস্ত রাজ্য সরকারি এবং আধা সরকারি কর্মচারীদের কর্মসংস্কৃতি যেইরকমভাবে তিলে তিলে ধ্বংস করা হয়েছিলো, তা যে কোন সরকারি কর্মস্থানে গেলেই হাতেনাতে টের পেতেন সাধারন মানুষ। লাল ফিতের ঘেরাটোপে যেকোন কাজ আদায় করতেই জুতোর শুকতলা খসিয়ে ফেলতে হতো। খোদ মহাকরনে ঘুঘুর বাসা কোঅর্ডিনেশন কমিটির দৌরাত্ম্য এমন ছিলো যে ৪টে বাজতে না বাজতেই বাবুরা অফিস থেকে হাওয়া হয়ে যেতেন, মিটিং মিছিলের সময় অফিস খালি করে ভিড় বাড়াতে নিয়ে যাওয়া হতো তাদের। পরিবর্তন যে শুধু মাত্র একটি স্লোগান নয়, তা প্রমান করতে উঠেপড়ে লেগেছেন পরিবর্তনের কান্ডারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। লুন্ঠিত কর্মসংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার জন্যে তাই তিনি প্রথমেই বেছে নিয়েছেন তার নিজের কর্মস্থল, মহাকরন।

সম্প্রতি মূখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে মহাকরনের সমস্ত কর্মচারীদের কাছে আলগা বার্তা পৌছে দেওয়া হয়েছে যে গতানুগতিক কাজের পরিবেশ এবং কর্মসংস্কৃতিকে কে অনেক উন্নত করতে হবে। মমতা ব্যানার্জীর ঘনিষ্ঠ মহলের খবর, এই লক্ষ্যে মূখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টারা (যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়)কয়েকটি প্রধান জায়গা চিহ্নিত করেছেন। এক, জানানো হয়েছে যে মহাকরনের কর্মচারীদের সময় মতন অফিসে পৌছতে হবে এবং সময়ের আগে বেরনো চলবে না। এছাড়াও কর্মচারীদের ৩টে আলাদা শিফটে ভাগ করে দেওয়া হবে, এশিয়া শিফট, ইউরোপ শিফট এবং নর্থ আমেরিকা শিফট। এর ফলে রাজ্যের কাজ যেমন হবে, তেমনই আবার ইউরোপ এবং নর্থ আমেরিকার বিভিন্ন কর্তাব্যাক্তির সাথে যোগাযোগ এবং কাজেরও সুবিধে হবে। মমতা ব্যানার্জী এবং তার ক্যাবিনেট প্রথমদিন থেকেই গভীর রাত অবধি কাজ করবার রীতি চালু করেছেন। সেইখানেই সকালের বাসি ঠান্ডা দুধ চা খেয়ে অম্বলে আক্রান্ত হয়ে পড়েন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, যার জন্যে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাই রাত জেগে কাজ করবার সময় যেন চা বিস্কুটের জোগান থাকে, সেইদিকেও নজর দেবেন রাত্রের শিফটের কর্মীরা। দুই, জানানো হয়েছে যে ইউনিয়ন রুমে তাস খেলা থেকে শুরু করে খবরের কাগজ নিয়ে আড্ডা, এইধরনের কাজকর্ম বন্ধ করা হবে। তার জায়গায় সকাল থেকে ইউনিয়ন রুমে চলবে লো ভলিউমে রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং বাংলার মহর্ষিদের বানী। তার মধ্যে যোগব্যাম, প্রানায়ম এবং ধ্যানের জন্যে মাসে একবার করে ওয়ার্কশপ করবেন বাবা রামদেব এবং রবিশঙ্কর। এতে করে কর্মচারীদের মধ্যে চিত্তচাঞ্চল্য কমবে, তারা মানসিক স্থিরতা অর্জন করবে এবং কর্মে মন বসবে। তিন, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে এক জায়গায় স্থির হয়ে বসে কাজ করা, যাকে বলে সেডেন্টারি লাইফস্টাইল, এর ফলে কর্মচারীদের মেদ বাড়ছে, ভুড়ি বাড়ছে, এবং ধমনী এবং মগজে চর্বির মাত্রা বাড়ছে। এর ফলে পরবর্তী জীবনে নানান রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে হচ্ছে। এর বিধানস্বরুপ প্রত্যেক কর্মচারীর জন্যে একটি করে এক্সারসাইজ সাইকেল কেনা হচ্ছে। এই সাইকেলের সাথে জোড়া থাকবে একটি ডাইনামো যা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। আশা করা হচ্ছে যে সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যাপকভাবে একে ছড়িয়ে দিতে পারলে রাজ্যের বিদ্যুৎ সঙ্কটের অনেকটাই সুরাহা হবে।

পরিবর্তনের ছোয়া এবার মহাকরনে
শুধু কর্মচারীদের মধ্যে নয় নিজের দপ্তরের মন্ত্রীদের মধ্যেও এই কর্মসংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগ নিয়েছেন মূখ্যমন্ত্রী। তাই বুদ্ধবাবুর ফাকা বুলি ডু ইট নাউ নয়, একেবারে টার্গেট ধরে বেধে দিয়েছেন তাদের। জানা গেছে যে বনমন্ত্রী কে আদেশ দেওয়া হয়েছে আগামী তিন মাসের মধ্যে রাজ্যে এক কোটি বৃক্ষরোপন করতে হবে। এর ফলে সেকেন্ডে কটা গাছ লাগাতে হবে সেই হিসেবে আপাতত ব্যাস্ত বনমন্ত্রী। সাথে সাথে পরিবেশ মন্ত্রীর দপ্তরও এই বিষয়ে পিছিয়ে থাকবে না বলে ঠিক করেছে। ঠিক এমনই, বায়োটেকনলজি দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী জানিয়েছেন যে তিনি জেলায় জেলায় খাদ্য সংরক্ষনের ব্যাবস্থাকে উন্নত করবেন। এর ফলে খাদ্য প্রক্রিয়াকরন দপ্তরের মন্ত্রীর মধ্যেও কাজের উদ্দম দেখা দিয়েছে। ক্যাবিনেটে বলা হচ্ছে, দপ্তরগুলির মধ্যে এইরকম হেলথি কম্পিটিশনের প্রসার ঘটাতে।

এই সমস্ত বিষয়ে নিয়ে সাংবাদিকরা যখন মমতা ব্যানার্জীকে প্রশ্ন করেন তখন তিনি জানান চ্যারিটি বিগিনস এট হোম। এই মহাকরন থেকেই শুরু করলাম এই জন্যে। তিনি আরও জানান, এই বিভিন্ন ভালো কাজে বারেবারে ভেতর থেকে চক্রান্ত্র করে নাশকতা করবার চেষ্টা চালাচ্ছে সিপিএম। নাম উল্লেখ না করেই তিনি বলেন, সিপিএমের বিভিন্ন নেতারা আমাদের কট কট করে কটাক্ষ করছে। কিন্তু মানুষ ওদের সাথে নেই। আমরা স্বামী বিবেকানন্দ, মাতঙ্গীনি হাজরা, সুভাষ বোসের আদর্শে অনুপ্রানিত। সুভাষ বোস কলকাতার মেয়র থাকাকালীন পুরভার কর্মীরা যখন বেতন বাড়ানো নিয়ে আন্দোলন করছিলো, তখন তাদের উদ্দ্যেশে বলেছিলেন, কর্ম করে যাও, ফলের কথা চিন্তা করো না। বিবেকানন্দ নিউ ইয়র্কে সভা করে বলেছিলেন, আট ঘণ্টা কাজ, আট ঘন্টা ফুটবল, আট ঘন্টা গীতা। স্বামীজির সেই বানীর উদ্দ্যেশে রবীন্দ্রনাথ গান লিখেছিলেন -এই কথাটি মনে রেখো। কাজ করতে করতে সহজেই শ্রান্ত হয়ে পড়েন যারা তাদের উদ্দীপ্ত করতে তিনি গান লিখেছিলেন ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু। বাংলার সেই হৃত গৌরব আমরা ফিরিয়ে আনবো।

আমরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছি, সত্যি কি মূখ্যমন্ত্রী পারবেন বাংলার কর্মসংস্কৃতির পালে নতুন হাওয়া লাগাতে? মানুষ বলছে, পারবেন।

Monday 23 May 2011

রাজ্যজুড়ে অস্ত্র উদ্ধার সিপিএমের বিভিন্ন পার্টি অফিস থেকে


নিজস্ব সংবাদ নির্মাতাঃ  পরিবর্তনের ঝড়ে রাজ্য জুড়ে প্রশাসনের তৎপরতা বেশি করে দেখা যাচ্ছে। গতকাল রাত্রে নির্ভরযোগ্য সুত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে রাজ্যজুড়ে সিপিএমের বিভিন্ন পার্টি অফিসে এবং খোদ আলিমুদ্দিন স্ট্রীটের মুজ্জাফর আহমেদ ভবনে রাজ্য পুলিশ, কলকাতা পুলিশ এবং সিআইডি যৌথ অভিযান চালিয়ে বিশাল অস্ত্রভান্ডার উদ্ধার করে। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, নানান অটোমেটিক রাইফেল এবং হ্যান্ডগান যেমন কোল্ট বা গ্লক ছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক আরপিজি, সারফেস টু এয়ার মিসাইল এবং ফ্লেমথ্রোয়ার। এ ছাড়াও বিশ্বস্ত সুত্রে খবর যে আলিমুদ্দিনের নিচে গ্যারেজে নাকি তেরপল দিয়ে ঢাকা দুটো সোভিয়েত আমলের ট্যাঙ্ক পাওয়া গেছে। এই বিষয়ে পুলিশের অধিকর্তারা এখনো মুখ খোলেননি কারন এর সাথে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন সুরক্ষা জড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু এই খানাতল্লাশির সময় কিছু নির্ভীক সাংবাদিক বন্ধু সেই ট্যাঙ্কের ছবি তুলে এনেছে জনসমক্ষে সিপিএমের নোংরা হিংস্র চেহারা তুলে ধরা হবে বলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্যামেরাম্যান আমাদের জানান, জীবনের ঝুকি নিয়ে আমরা এই ট্যাঙ্কের খবর সংগ্রহ করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ তল্লাশি না চালানো অবধি ওখানে ছবি তুলতে যেতে পারছিলাম না, গেলেই গুম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতো। এখন যখন চারিদিকে আবার গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই অবস্থায় মানুষের জন্যে সেই ছবি আমরা তুলে এনেছি তার পাশে থাকা সাংবাদিক জানালেন, মানুষ কে ছবি দেখতে হবে, নাহলে পিছিয়ে পড়তে হবে।
আগেরদিনই সিপিএমের কিছু নেতা অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে অস্ত্র উদ্ধারের এসব ঘটনা আসলে  মিডিয়ার দ্বারা সাজানো। কিন্তু সাংবাদিকরা জানাচ্ছেন যে ট্যাঙ্কটা যে তেরপল দিয়ে মোড়া ছিলো, এবার ফেব্রুয়ারিতে ব্রিগেডে সেই তেরপলই ব্যাবহার হয়েছিলো মঞ্চের পাশে স্টলের ছাউনির জন্যে। অতএব এ ঘটনা যে সাজানো নয়, বরং সিপিমের নীচ চরিত্রকেই সবার সামনে অকাট্য প্রমান স্বরুপ তুলে ধরছে, তা বলাই বাহুল্য।

আলিমুদ্দিনের নিচে লুকনো সেই ট্যাঙ্ক
এই ট্যাঙ্ক উদ্ধারের পরেই সিপিএমের রাজ্য স্তরের নেতারা মুখে কুলুপ এটেছেন। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী কে এই ঘটনা সমন্ধে প্রশ্ন করা হয়, ট্যাঙ্ক নিয়ে ঘটনার বিষয়ে আপনার কি মতামত? মূখ্যমন্ত্রী জানান যে টালা ট্যাঙ্কে বিষ মেশানোর ব্যাপারে উনি আগেই বলেছিলেন। সামনের সারি থেকে কোন এক অসভ্য অগনতান্ত্রিক দালাল স্তরের কলমচি সৌজন্যতাবোধের কিছু বাকি না রেখে মাঝপথেই ওনাকে বাধা দিয়ে বলেন যে এই ট্যাঙ্ক সেই ট্যাঙ্ক নয়। কিন্তু গনতান্ত্রিক পশ্চিমবঙ্গে এইসব বদমায়েশি যে বরদাস্ত করা হবে না, তা সেই কলমচিকে ভালো করেই বুঝিয়ে দিয়েছেন মা-মাটি-মানুষের সাহসী সৈনিকরা।
আগামী দিনে এইরকম আরও মারনাস্ত্র উদ্ধারের সম্ভাবনাকে একদম উড়িয়ে দিচ্ছেন না প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের মধ্যে ওয়াকিবহাল মহল। কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে সিপিএম প্রভাবিত এমন কিছু সমবায় দ্বারা পরিচালিত কয়েকটি মাছের ভেড়িতে হানা দিতে চলেছে রাজ্য প্রশাসন। মিডিয়া নিজস্ব তদন্তে খোজ পেয়েছে এইরকম কয়েকটি মাছের ভেড়ির তলায় পরমানুশক্তি পরিচালিত অত্যাধুনিক মারনাস্ত্রে সুসজ্জিত কিছু সাবমেরিন লুকিয়ে রেখেছে সিপিএম।