Search This Blog

Monday 23 May 2011

রাজ্যজুড়ে অস্ত্র উদ্ধার সিপিএমের বিভিন্ন পার্টি অফিস থেকে


নিজস্ব সংবাদ নির্মাতাঃ  পরিবর্তনের ঝড়ে রাজ্য জুড়ে প্রশাসনের তৎপরতা বেশি করে দেখা যাচ্ছে। গতকাল রাত্রে নির্ভরযোগ্য সুত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে রাজ্যজুড়ে সিপিএমের বিভিন্ন পার্টি অফিসে এবং খোদ আলিমুদ্দিন স্ট্রীটের মুজ্জাফর আহমেদ ভবনে রাজ্য পুলিশ, কলকাতা পুলিশ এবং সিআইডি যৌথ অভিযান চালিয়ে বিশাল অস্ত্রভান্ডার উদ্ধার করে। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, নানান অটোমেটিক রাইফেল এবং হ্যান্ডগান যেমন কোল্ট বা গ্লক ছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক আরপিজি, সারফেস টু এয়ার মিসাইল এবং ফ্লেমথ্রোয়ার। এ ছাড়াও বিশ্বস্ত সুত্রে খবর যে আলিমুদ্দিনের নিচে গ্যারেজে নাকি তেরপল দিয়ে ঢাকা দুটো সোভিয়েত আমলের ট্যাঙ্ক পাওয়া গেছে। এই বিষয়ে পুলিশের অধিকর্তারা এখনো মুখ খোলেননি কারন এর সাথে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন সুরক্ষা জড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু এই খানাতল্লাশির সময় কিছু নির্ভীক সাংবাদিক বন্ধু সেই ট্যাঙ্কের ছবি তুলে এনেছে জনসমক্ষে সিপিএমের নোংরা হিংস্র চেহারা তুলে ধরা হবে বলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্যামেরাম্যান আমাদের জানান, জীবনের ঝুকি নিয়ে আমরা এই ট্যাঙ্কের খবর সংগ্রহ করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ তল্লাশি না চালানো অবধি ওখানে ছবি তুলতে যেতে পারছিলাম না, গেলেই গুম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতো। এখন যখন চারিদিকে আবার গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই অবস্থায় মানুষের জন্যে সেই ছবি আমরা তুলে এনেছি তার পাশে থাকা সাংবাদিক জানালেন, মানুষ কে ছবি দেখতে হবে, নাহলে পিছিয়ে পড়তে হবে।
আগেরদিনই সিপিএমের কিছু নেতা অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে অস্ত্র উদ্ধারের এসব ঘটনা আসলে  মিডিয়ার দ্বারা সাজানো। কিন্তু সাংবাদিকরা জানাচ্ছেন যে ট্যাঙ্কটা যে তেরপল দিয়ে মোড়া ছিলো, এবার ফেব্রুয়ারিতে ব্রিগেডে সেই তেরপলই ব্যাবহার হয়েছিলো মঞ্চের পাশে স্টলের ছাউনির জন্যে। অতএব এ ঘটনা যে সাজানো নয়, বরং সিপিমের নীচ চরিত্রকেই সবার সামনে অকাট্য প্রমান স্বরুপ তুলে ধরছে, তা বলাই বাহুল্য।

আলিমুদ্দিনের নিচে লুকনো সেই ট্যাঙ্ক
এই ট্যাঙ্ক উদ্ধারের পরেই সিপিএমের রাজ্য স্তরের নেতারা মুখে কুলুপ এটেছেন। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী কে এই ঘটনা সমন্ধে প্রশ্ন করা হয়, ট্যাঙ্ক নিয়ে ঘটনার বিষয়ে আপনার কি মতামত? মূখ্যমন্ত্রী জানান যে টালা ট্যাঙ্কে বিষ মেশানোর ব্যাপারে উনি আগেই বলেছিলেন। সামনের সারি থেকে কোন এক অসভ্য অগনতান্ত্রিক দালাল স্তরের কলমচি সৌজন্যতাবোধের কিছু বাকি না রেখে মাঝপথেই ওনাকে বাধা দিয়ে বলেন যে এই ট্যাঙ্ক সেই ট্যাঙ্ক নয়। কিন্তু গনতান্ত্রিক পশ্চিমবঙ্গে এইসব বদমায়েশি যে বরদাস্ত করা হবে না, তা সেই কলমচিকে ভালো করেই বুঝিয়ে দিয়েছেন মা-মাটি-মানুষের সাহসী সৈনিকরা।
আগামী দিনে এইরকম আরও মারনাস্ত্র উদ্ধারের সম্ভাবনাকে একদম উড়িয়ে দিচ্ছেন না প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের মধ্যে ওয়াকিবহাল মহল। কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে সিপিএম প্রভাবিত এমন কিছু সমবায় দ্বারা পরিচালিত কয়েকটি মাছের ভেড়িতে হানা দিতে চলেছে রাজ্য প্রশাসন। মিডিয়া নিজস্ব তদন্তে খোজ পেয়েছে এইরকম কয়েকটি মাছের ভেড়ির তলায় পরমানুশক্তি পরিচালিত অত্যাধুনিক মারনাস্ত্রে সুসজ্জিত কিছু সাবমেরিন লুকিয়ে রেখেছে সিপিএম। 

No comments:

Post a Comment